ইনফরমেশন কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) আমাদের ডিপিডিসিকে ডিজিটাল ডিপিডিসি রূপান্তর করতে সাহায্য করছে এবং প্রতিষ্ঠানটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। গ্রাহক ও কর্মচারীসহ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের জন্য ইনফরমেশন (তথ্য) প্রয়োজনীয় যা তাদের কাজগুলি করতে সহায়তা করে । আইসিটি, গ্রাহক এবং কর্মচারীদের তথ্য সরবরাহের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন নিশ্চিত করে । ডিপিডিসি এর তরুণ এবং অভিজ্ঞ আইসিটি ভিত্তিক ২০২১ সালের মধ্যে ডিপিডিসিকে কাগজহীন অফিস করার জন্য একসাথে কাজ করছে। আইসিটি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা নিম্নোক্ত কারিগরি বিষয়গুলিতে বিশেষভাবে তার অপারেশনগুলির উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে:
(ক) রাজস্ব ব্যবস্থাপনা:
(১) কেন্দ্রীয় বিলিং সিস্টেম:
ডিপিডিসি ৩৬ টি এনওসিএস অফিস প্রায় ১১.০৯ লক্ষ গ্রাহকসহ একটি বৃহৎ এলাকা আচ্ছাদন করে। প্রতি মাসে ডিপিডিসি তাদের গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি বিল তৈরি হয়। এটি ডিপিডিসি এর আইসিটি ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির একটি এবং এটি একটি কেন্দ্রীয় বিলিং সিস্টেম দ্বারা সম্পন্ন হয়। উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের জন্য, সকল ৩৬ টি এনওসিএস অফিস স্থানীয়ভাবে তাদের বিল প্রদান করে এবং গ্রাহকরা দ্রুত সেবা পেতে পারেন। ডিপিডিসি ব্যবস্থাটি দ্রুততর করার জন্য সিস্টেমটি আপগ্রেড করার জন্য তার সর্বোত্তম কাজ করছে যাতে গ্রাহক যথাযথ সময় তাদের বিদ্যুৎ বিলটি পেতে পারে। উপরন্তু, ডিপিডিসি আইসিটি বিভাগ প্রতি বছর তাদের গ্রাহককে ক্লিয়ারেন্স বা বকেয়া সার্টিফিকেট প্রদান করে। এখন গ্রাহক বিলিংয়ের অবস্থা নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ও বুঝতে পারেন।
(২) নতুন সংযোগের জন্য অনলাইন আবেদন:
ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকার বাসিন্দাগণ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে অনলাইনে ডিপিডিসির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন এবং আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। অনলাইনে আবেদনের ফলে গ্রাহক ভোগান্তি কমে এসেছে এবং নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে থাকেন। ডিপিডিসি’র বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানকারী কর্মকর্তাগণ আবেদনের প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থা তদারকি করতে পারেন। এই সিস্টেমটি চালু করার ফলে নিম্নের সুবিধাসমূহ পাওয়া যাচ্ছে: গ্রাহক সল্পতম সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।
- আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় প্রতিধাপে গ্রাহক এসএমএস পাবেন ফলে গ্রাহক তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
- নতুন সংযোগের কার্যক্রম মনিটরিং সহজ হবে।
- মিটার সংযোগ হলে গ্রাহক ও মিটারের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলিং সিস্টেমে চলে আসবে।
- বিদ্যুৎ সংযোগের পর গ্রাহকের তথ্য নতুন করে এন্ট্রি না করার কারণে তথ্যের সঠিকতা বজায় থাকবে।
গ্রাহকের সশরীরে এনওসিএস অফিসে আসার হার কমবে।
(৩) ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম
বর্তমানে ডিপিডিসির গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য নিম্নোক্ত পাঁচটি ই-সেবা ব্যবহার করছেন:
(১) ইন্টারনেট ব্যাংকিং
(২) অনলাইন ব্রাঞ্চ
(৩) ভিসা/মাস্টার কার্ড
(৪) গ্রামীণফোন এবং
(৫) অটোডেবিট সেটেলমেন্ট
এতে ডিপিডিসি ও গ্রাহকগণ নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো পাচ্ছেন:
- গ্রাহককে বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাড়াতে হবে না।
- গ্রাহক যেকোনো সময় বিল দিতে পারবেন।
- পেমেন্ট দ্রুত পোস্টিং হবে।
- সকল চার্জ ও পেমেন্ট এর অনলাইনে রেকর্ড থাকবে ফলে পেপার ওয়ার্ক ও খরচ কমবে।
বিল পেমেন্ট এর পরে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে না বিধায় বিল কারেকশন এর ঝামেলা থাকবে না।
(৪) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মিটার রিডিং সংগ্রহ:
মিটার রিডিং সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজ, নির্ভুল এবং দ্রুত করার লক্ষ্যে ডিপিডিসি বর্তমানে মোবাইল অ্যপস এর মাধ্যমে গ্রাহকের আঙ্গিনা হতে মিটার রিডিং সংগ্রহ করছে। এই প্রক্রিয়ায় মিটার রিডিং সংগ্রহের পাশাপাশি মিটারের ছবিও ডাটাবেজে প্রেরণ করা হয়। সিস্টেমটি চালু করায় নিম্নোক্ত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে:
- মিটার রিডিং অটোমেটিক সার্ভারে স্থানান্তর হওয়ার কারণে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে না। ফলে দ্রুত বিল করা সম্ভব হবে।
- নির্ভুলভাবে মিটার রিডিং সংগ্রহ করা যাবে।
- মিটার রিডিং শিট প্রিন্ট করতে হবে না,ফলে কাগজের সাশ্রয় হবে এবং খরচ কমবে।
- মিটারের ছবি থাকায় রিডিং ক্রস চেক করা যাবে।
- মিটার রিডারকে মিটারের ছবি তোলার জন্য গ্রাহকের বাসায় যেতে হবে, ফলে ভিত্তিহীন রিডিং প্রদান সম্ভব হবেনা।
কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে মিটার রিডিং দেখতে পারবে।
(৫) এ এম আরঃ
ডিপিডিসি স্বয়ংক্রিয় মিটার রিডিং প্রযুক্তি আংশিকভাবে চালু করেছে তার গ্রাহকদের মিটার রিডিং অনলাইনে এ এম আর মিটার থেকে সার্ভারে নেওয়ার জন্য। মিটার টেমপারিং সিস্টেম দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে। আইসিটি সার্কেল এ এম আর এর জন্য সাপোট প্রদান করছে।
(৬) প্রিপেইড মিটারিং সিস্টেম:
ডিপিডিসি তার গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই শ্যামলী, আজিমপুর ও লালবাগ এনওসিএস এ প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেম চালু করেছে এবং ২০১৭ সনের মধ্যে আরও ৩ লক্ষ গ্রাহকের আঙ্গিনায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। অতি শীঘ্রই ডিপিডিসির সকল গ্রাহক এই সিস্টেম এর আওতায় চলে আসবে। ডিপিডিসি’র আইসিটি বিভাগ সিস্টেমটির উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এই সিস্টেম ব্যবহারে নিম্নোক্ত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে:
- গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই মিটার রিচার্জ করায় কোন বকেয়া বিল থাকবে না।
- মিটার রিডিং সংগ্রহ করতে হবে না।
- বিল তৈরি করতে হবে না, ফলে কাগজের সাশ্রয় হবে এবং খরচ কমবে।
- মিটার রিডিং সংগ্রহ ও বিল তৈরি না করার কারণে ডাটা এন্ট্রির কাজ কমে যাবে।
- লোড ম্যানেজমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে।
গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ি হবে।
(খ) গ্রাহক পরিষেবা ব্যবস্থাপনা:
(১) কাস্টমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসির গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই ধরণের কাস্টমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রস্তুত করেছে। ফলে গ্রাহকের অভিযোগ সমূহ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এবং সেই সাথে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
(১) এই সিস্টেমে অভিযোগকারী গ্রাহক এবং ডিপিডিসির প্রতিনিধির মধ্যকার কথোপকথন রেকর্ড করা হয় যা ভবিষ্যতে প্রয়োজনে শোনা যাবে। ডিপিডিসিতে কন্টাক্ট সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
(২) এটি মোবাইল অ্যাপ ও ব্রাউজার বেইজড সমন্বয়ে একটি স্মার্ট কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ডিপিডিসি’র যে কোন গ্রাহক তার মোবাইলের মাধ্যমে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ ডিপিডিসিকে অবহিত করতে পারে। সাথে সাথেই ডিপিডিসি ব্রাউজার বেইজড সিস্টেমটি ব্যবহার করে গ্রাহকের অভিযোগের নিষ্পত্তিকরতে পারে।
(২)ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইটঃ
ডিপিডিসি তার গ্রাহক সুবিধার্থে একটি আকর্ষনীয় এবং তথ্যবহুল ওয়েব সাইট প্রস্তুত করেছে। গ্রাহকগণ তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন: বিদ্যুৎ বিলের তথ্য, বিলের খতিয়ান, সিটিজেন চার্টার, স্ক্যাডা তথ্য, নোটিশ বোর্ড, টেরিফ রুল ও রেট, চলমান প্রকল্প এবং দরপত্রের তথ্য সন্নিবেশন করা হয়েছে।
(৩) কাস্টমার সার্ভিস অ্যাপস:
ডিপিডিসি’র সকল কাস্টমার এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে নিম্নোক্ত সেবাগুলো পাবেন:
- গ্রাহকগণ তাদের বিল স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন
- লেজারে গ্রাহকগণ তাদের শেষ ১২ মাসের বিল দেখার পাশাপাশি গ্রাফের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ইউনিট দেখার সুযোগ পাবেন
- বিভিন্ন এনওসিএস দপ্তরের তথ্য, ফোন ও লোকেশন ম্যাপ দেখা যাবে
- গ্রাহকগণ তাদের ব্যবহৃত লোড অনুযায়ী সম্ভাব্য বিল হিসাব করতে পারবেন
গ্রাহকগণ অনলাইন ব্যাংকের মাধ্যমে বিল প্রদানের সুবিধা পাবেন
(৪) এসএমএস এবং ই-মেইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
বর্তমানে ডিপিডিসি’র সকল কাস্টমারকে এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিলের তথ্য এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো যাচ্ছে। পাশাপাশি এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোন সিদ্ধান্ত সকল এমপ্লয়িকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হচ্ছে।
(গ) অফিস ম্যানেজমেন্ট:
I) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট:
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরীকৃত ইউনিফাইড পারসোনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএমআইএস) এ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিটি সংস্থা এর জনবলের তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন ও সংযোগ করতে পারবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য খুব সহজে পাওয়া সম্ভব হবে। এই সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে চালু হলে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে বিদ্যুৎ খাতে নিয়োজিত জনবলের চিত্র পাওয়া সহজ হবে এবং ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। এই সিস্টেমে প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর তথ্য এন্ট্রি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে আরো অন্যান্য বিষয় সংযোজন করা যাবে।
- সাধারণ তথ্যাবলী
- শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য
- স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য
- পূর্ববর্তী চাকুরীর তথ্য
- বদলী, পদোন্নতি ইত্যাদির তথ্য
- অবসর গ্রহণের তথ্য
- প্রশিক্ষণের তথ্য
- দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত কারণে বিদেশ ভ্রমণের তথ্য
- দক্ষতা মূল্যায়নের তথ্য
- বিভিন্ন দপ্তরে লোকবলের তথ্য
এই পিএমআইএস থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী নিম্নলিখিত রিপোর্ট তৈরী করা যাবে:
- কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জীবন বৃত্তান্ত
- বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত লোকবলের বিস্তারিত তথ্য
- প্রতিষ্ঠানের শূণ্য পদের সংখ্যা
- অবসর গ্রহণের তথ্য
- পদ, বৎসর, মাস অনুযায়ী অবসর গ্রহণকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তালিকা
- লিঙ্গ, পদ, দপ্তর ইত্যাদি অনুযায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংখ্যা
- বিদেশ ভ্রমণের তথ্য
- প্রশিক্ষণের তথ্য
- বিভিন্ন দপ্তরের স্তর পরস্পরা (Hierarchy)
Ii) অনলাইন রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে অনলাইন রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে। প্রার্থীগণ এ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে একটি ট্রাকিং নাম্বার পাবে এবং ট্রাকিং নাম্বারটি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ডিপিডিসি’র অনুকূলে পরীক্ষা ফি প্রদান করতে পারবে। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীগণ ডিপিডিসি কর্তৃক এসএমএস পাবে এবং এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে তাদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।
Iii) ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে সমগ্র প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ফলে ট্রেইনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট দপ্তর সহজেই প্রশিক্ষণ প্রদান কার্য সম্পাদন করতে পারেন।
Iv) পে রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
বর্তমানে ডিপিডিসি’র সকল এমপ্লয়ির যে কোন ধরণের সার্ভিস বেনিফিট (বেতন, উৎসব ভাতা, উৎসাহ ভাতা, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি) পরিশোধকল্পে এই সিস্টেমটি ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি বেতন-ভাতাদি প্রস্তুতের সাথে সাথেই এই সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যেকটি এমপ্লয়িকে তার বেতন-ভাতাদির যাবতীয় তথ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে অবগত করছে।
V) উপস্থিতি এবং ছুটি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম:
বর্তমানে ডিপিডিসি’র সকল এমপ্লয়ির দৈনিক উপস্থিতি সংক্রান্ত (উপস্থিত, অনুপস্থিত, দেরি, ছুটি ইত্যাদি) তথ্যের মাধ্যমে প্রত্যেক এমপ্লয়িকে তদারকি করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি এমপ্লয়ির প্রতিমাসে মোট কর্ম ঘণ্টা, মোট বিলম্বিত ঘণ্টা এবং অফিস সময়ের পূর্বে প্রস্থানের মোট ঘণ্টা সম্পর্কে জানা যায়। ফলে ডিপিডিসি’র সকল এমপ্লয়িদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।
Vi) ডিসিপ্লিনারী অ্যাকশন সিস্টেম:
ডিপিডিসি এই সিস্টেম ব্যবহার করে এমপ্লয়িদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক বিষয়ের রেকর্ড সংরক্ষণ করছে এবং এমপ্লয়ির পদোন্নতি ও যে কোন সার্ভিস বেনিফিট প্রদানের ক্ষেত্রে এই সিস্টেমটি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছে। ফলে ডিজিএম (এইচআর), এমপ্লয়ি রিলেশন দপ্তরের কর্মকান্ডের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Vii) আউটসোর্সিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসিতে কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিস এবং ডিস্ট্রিবিউশন সাপোর্ট সার্ভিস হিসাবে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হতে ভাড়া ভিত্তিক জনবল কাজ করছে। তাদের তথ্য সংরক্ষণ ও তদারকির স্বার্থে এই সিস্টেমটি ডেভেলপ করা হয়েছে। প্রত্যেক আউটসোর্স এমপ্লয়ির প্রতিদিনের উপস্থিতি এই সিস্টেম দ্বারা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
(৩) প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
I) ই-টেন্ডারিং সিস্টেমঃ
টেন্ডার ম্যানিপুলেশন বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ই-টেন্ডার সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নীতিমালা প্রণয়ন এবং ক্রয়ের সুবিধা প্রদানের জন্য, ডিপিডিসি বাংলাদেশ সরকারের ই-টেন্ডিং সিস্টেমকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
Ii) ই-অকশন সিস্টেম:
ডিপিডিসিতে নিলাম পদ্ধতির যে ম্যানুয়াল সিস্টেম পরিচালিত ছিল তা প্রায়শই বিভিন্ন দরদাতা ও বাইরের অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিবর্গের অযাচিত হস্তক্ষেপের দরুন ব্যহত হত। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ নিলাম কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ই-অকশন সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। সিস্টেমটি অনলাইন হওয়ায় অযাচিত কোন হস্তক্ষেপ বা অরাজকতা সৃষ্টি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ই-জিপি’র ন্যায় অংশ গ্রহণকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সিস্টেমটিতে সকল আর্থিক লেনদেন অনলাইন ব্যাংকের সাথে নিজেস্ব API এর মাধ্যমে নিষ্পন্ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সিস্টেমের মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে কয়েকটি নিলাম প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
Iii) স্টোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসি’র সকল দপ্তরের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ওয়েব বেইজড স্টোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু আছে। ফলে কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় মালামালের মজুদ সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেই সাথে মালামালের চাহিদা-প্রাপ্তি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।
Iv) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসি তার বিভিন্ন ধরণের এসেট (ট্রান্সফরমার, সাবস্টেশন, স্থাপনা, জমি, সরঞ্জামাদি ইত্যাদি) সমূহের তথ্য সংরক্ষণের জন্য এই সিস্টেমটি ডেভেলপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সিস্টেমটি একাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে একীভূত করে একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেম ডেভেলপ করা হবে।
v) অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসির সকল দপ্তরের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত কাজ একাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে সম্পাদন করা হচ্ছে। ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। উক্ত সিস্টেমের মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন করা যাচ্ছে ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনার সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
v) এনার্জি অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম:
ডিপিডিসি তার বিভিন্ন ট্যারিফ পয়েন্টে পিডিবি, পিজিসিবি’র বিল হিসাব করা এবং বিভিন্ন গ্রীড ও বিতরণ সাবস্টেশনের এনার্জি লস হিসাবের ক্ষেত্রে এই সিস্টেমটি ব্যবহার করছে।
(৪) অন্যান্য সিস্টেম:
i) কেপিআই পারফরমেন্স নির্দেশক এবং এমআইএস মনিটরিং সিস্টেম:
মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিপিডিসি’র কি পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর (কেপিআই) পর্যবেক্ষণ ও অর্জনের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি কেপিআই সিস্টেম প্রস্তুত করেছে। এই সিস্টেমে কেপিআই সংক্রান্ত সকল অর্জনের (যেমন- সিস্টেম লস, কালেকশন বিল রেশিও, সমমাস হিসাব ইত্যাদি) তথ্য ডিপিডিসি’র অন্যান্য সিস্টেম হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় এটি তদারকি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
i i) ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম:
ডিপিডিসি সফলভাবে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইন্ট্রানেটের মাধ্যমে অডিও এবং ভিডিও যোগাযোগের মাধ্যমে বাস্তব সময়ে লোকজনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে যা ডিজিটাল নথি এবং ভার্চুয়াল মিটিং এ সহযোগিতা করে।
III) কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:
ডিপিডিসি তার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জন্য ওয়েব ভিত্তিক সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে যাতে তারা তাদের কাগজ এবং তাদের ফাইল অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার কাজ কমিয়ে দিতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেট ডিপিডিসি এর ইন্ট্রানেট সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকের বিল পরিশোধের শর্তটি যাচাই করতে পারেন।
Iv) আইপি ফোন এবং সম্পর্কিত হার্ডওয়্যার:
ডিপিডিসি'র বেশীরভাগ অফিস অনলাইন সংযোগের আওতাধীন। আইসিটি সার্কেল ডিপিডিসি'র বিভিন্ন অফিসের মধ্যে সুলভ মূল্যে অনলাইন সংযোগ ব্যবহার করে যোগাযোগ করার জন্য আইপি ফোন এবং সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়্যার ক্রয় করতে যাচ্ছে। আইসিটি সার্কেলে ইতিমধ্যে সিস্টেমটি পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এটি পুরো ডিপিডিসিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
v) ব্যবসায়িক এসএমএস:
ডিপিডিসির কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ফোনে করলে অনেক সময় সাপেক্ষ হয়। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ডিপিডিসি এর আইসিটি সার্কেল সফলভাবে ব্যবসায়িক এসএমএস সিস্টেম প্রবর্তন করেছে তাছাড়া ডিপিডিসি'র ক্ষেত্রের স্তরের কর্মচারী বা গোষ্ঠীকে ট্র্যাক করার জন্য, আইসিটি সার্কেল টিম ট্র্যাকিং সিস্টেম শুরু হবে।
v।) জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস):
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ডিপিডিসি'র অধীনে ডিপিডিসি'র বিস্তৃত জরিপের পরামর্শমূলক সেবা প্রদানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শকারী সংস্থা নিযুক্ত করতে যাচ্ছে যার মাধ্যমে লাইন রুট স্কেচ, একক লাইন ডায়াগ্রাম, বিদ্যমান নেটওয়ার্ক উপাদানগুলির ডাটাবেস তৈরি এবং বিউকির প্রস্তুতি অবিচ্ছিন্ন পুনর্নির্মাণ এবং বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, জিআইএস ভিত্তিক ম্যাপিং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্লেষণের সরঞ্জাম / সফটওয়্যার ভবিষ্যতের বণ্টন ব্যবস্থার পরিকল্পনা, ডিপিডিসির জন্য ২০ বছরের ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান এবং জিআইএস ভিত্তিক ম্যাপিং ও প্রকৌশল বিশ্লেষণের জন্য ডিপিডিসি কর্মীদের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রস্তুতি।
v।।) তথ্য কেন্দ্র ও দুর্যোগ পুনরুদ্ধার কেন্দ্র:
ডিপিডিসি'র বিভিন্ন সমাধান বজায় রাখার জন্য, ডিপিডিসি এর আইসিটি সার্কেল খুব শীঘ্রই একটি সম্পূর্ণ ডেটা সেন্টার এবং দুর্যোগ পুনরুদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে।
v।।।) যোগাযোগ অবকাঠামো :
ডিপিডিসি সমস্ত অফিস এখন একটি সুরক্ষিত ভিপিএন নেটওয়ার্ক জুড়ে সংযুক্ত। এই নিরাপদ চ্যানেল ব্যবহার করে ডিপিডিসির বিভিন্ন অফিস একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।
আইসিটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা:
ডিপিডিসি এর আইসিটি সার্কেল উপরে উল্লিখিত টাস্ক উপর কাজ ছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী তার বিদ্যমান সফ্টওয়্যার এর সংশোধনের কাজ করে। তাছাড়া, আইসিটি সার্কেল বিভিন্ন জাতীয় ডিজিটালাইজেশনে সফলভাবে অংশগ্রহন করেছে এবং এর জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছে। উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান এবং কোম্পানিকে লাভজনক ও কার্যকর করার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, আইসিটি সার্কেল নিম্নলিখিত ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে:
Ø ফাইল ট্র্যাক রাখার জন্য ডিপিডিসি ই-ফাইল মুভমেন্ট সফ্টওয়্যার চালু করতে যাচ্ছে।
Ø প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরীক্ষণ এবং প্রকল্প দফতরের উন্নয়নে আইসিটি সার্কেল মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুত বিভাগের সাথে কাজ করে এবং একটি ওয়েব ভিত্তিক সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে যাতে মন্ত্রণালয় ও ডিপিডিসি উভয় কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণ করতে পারে।
Ø অফিসে কাগজহীন করার জন্য, আইসিটি সার্কেল অফিস অটোমেশনের জন্য কাজ করবে। একটি এনওসিএস অফিসের সাথে একটি পাইলট প্রকল্প এই প্রকল্পের অধীনে কাগজহীন হবে।