Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

২০২৫ সালে বিদ্যুৎবিভ্রাট শূন্যের কোঠায় নামবেঃ মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিপিডিসি


প্রকাশন তারিখ : 2021-09-19

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও গ্রাহকসন্তুষ্টি অর্জনে নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম।

আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎবিভ্রাট বন্ধ হচ্ছে না কেন? 
বিকাশ দেওয়ান: এর দুইটা কারণ। একটা আমাদের দিক থেকে, আরেকটার জন্য গ্রাহকেরা দায়ী। আমাদের দুর্বলতা হলো, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের লাইন ট্রান্সফরমারগুলো পুরোনো। এ কারণে গরমকালে গ্রাহকেরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে এই সমস্যা দূর করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি ডিপিডিসিতে যোগ দেওয়ার আগে বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ছিল ৪৭টি, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭টিতে। এ ক্ষেত্রে শুধু উপকেন্দ্রের সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি। আমাদের উপকেন্দ্রগুলো থেকে গ্রাহকদের জন্য দ্বৈত উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া আমাদের বিতরণ এলাকার একটা বড় অংশ পুরান ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায়। সেখানে রাস্তাঘাট খুব সরু। ওই সব এলাকার সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিতরণের লাইন, ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। যেখানে জায়গার স্বল্পতা রয়েছে, সেখানে ঝুঁকিমুক্তভাবে একটি খুঁটিতে ট্রান্সফরমার বসিয়েছি আমরা। ফলে আগের মতো ঢালাও বিদ্যুৎবিভ্রাট হচ্ছে, এটা ঠিক না। পুরোপুরি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আমাদের আরও তিন-চার বছর সময় লাগবে।

আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎবিভ্রাটের জন্য গ্রাহকেরা কীভাবে দায়ী? 
বিকাশ দেওয়ান: অনেক এলাকায় আমরা দেখতে পাই যে অনুমোদিত লোডের বাইরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন গ্রাহকেরা। যার ফলে আমাদের ফিডারে চাপ বাড়ে। অনেক সময় লাইন ও ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটতে পারে। আবার বহুতল ভবনে যাঁরা উচ্চলোড ব্যবহার করেন, তাঁরা তাঁদের বাড়িতে যে ট্রান্সফরমার স্থাপন করেন, সেসব ট্রান্সফরমারের রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। ফলে, তাঁদের কারণে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে একটি ফিডারের সব গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। এ কারণে শুধু আমাদের দায়ী না করে, গ্রাহকদেরও সতর্ক হতে হবে। 

আজকের পত্রিকা: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদি কী কৌশল নিয়েছেন? 
বিকাশ দেওয়ান: গ্রাহক যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়, সে জন্য একগুচ্ছ কাজ হাতে নিয়েছি আমরা। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার নানা উন্নয়নকাজ চলছে আমাদের। চীনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি জিটুজি প্রকল্প চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর সিটি কলেজ থেকে রাপা প্লাজা-সাতমসজিদ হয়ে পিলখানা রোড পর্যন্ত মোট ১০৫ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমার মাটির নিচে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। রাজধানীর হাতিরপুল, তেজগাঁও, হাতিরঝিল এবং কাকরাইলে হবে চারটি অত্যাধুনিক বহুতল ভবন। এসব ভবনে একই ছাদের তলায় মিলবে বিদ্যুৎ-সংযোগ, সংযোগোত্তর সেবা, তথ্যসেবা বা বিল প্রদানের সুবিধা। জিটুজি প্রকল্পের আওতায় ৪০টি নতুন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন এবং ১২টি পুরোনো উপকেন্দ্রের সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মূল সড়কের পাশের সব বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার জন্য আছে আলাদা প্রকল্প। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজউক ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি আমরা। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সর্বাধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা হবে আমাদের। 

আজকের পত্রিকা: কবে নাগাদ সব গ্রাহক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন? 
বিকাশ দেওয়ান: আমাদের চলমান প্রকল্পগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আমরা প্রায় এক বছরের মতো পিছিয়ে পড়েছি। তাই আশা করছি, ২০২৫ সাল নাগাদ শুধু উন্নত বিশ্বের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব আমরা। ডিপিডিসি এলাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাট নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। 

আজকের পত্রিকা: গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন? 
বিকাশ দেওয়ান: গ্রাহক ভোগান্তির জন্য আমাদের মাঠপর্যায়ের যে কর্মকর্তারা দায়ী থাকছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি আমরা। বিদ্যুৎ-সংযোগ প্রদানে যাতে দেরি না হয়, সে জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের দুইজন নির্বাহী পরিচালক সরাসরি তদারকি করছেন। এ ছাড়া আমরা গ্রাহকের সুবিধার্থে স্মার্ট মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্থাপন করতে যাচ্ছি। এর ফলে গ্রাহক মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন, নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যবহার। ২০২৫ সাল নাগাদ সব গ্রাহক আসবেন এই সুবিধার আওতায়। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চুরি বন্ধ করাসহ, যেকোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে পারব আমরা। ওই সময় আমাদের সিস্টেম লসের পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলে আশা করছি।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon